Banglar Bari Recovery – সরকার ফেরত নিচ্ছে ঘরের টাকা! কে খালি যাচ্ছে, কে পাবে? পুরো তথ্য এখানে!

Banglar Bari Recovery – বাংলার গৃহহীন মানুষদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগেই বাংলার বাড়ি প্রকল্প চালু করেছিলেন। এই প্রকল্পের জন্য অনেক মানুষই মাথার উপর ছাদ পেয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে অভিযোগ উঠে আসছে যে অনেক মানুষই সরকারের সেই টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরি করেনি। তাই প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে যদি কেউ নিয়ম ভাঙ্গে তাহলে তাকে টাকা ফেরত দিয়ে দিতে হবে।

এই প্রকল্পটির আসল উদ্দেশ্য কী ?

যখন থেকে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা বন্ধ হয়ে গেছে তখন থেকেই রাজ্য সরকার এই নতুন প্রকল্পটি শুরু করেছে। এই প্রকল্পে গৃহনহীন মানুষদের বাড়ি বানানোর জন্য ১.২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের টাকা দুইটি কিস্তিতে দেওয়া হয়। প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পে ১২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল প্রথম কিস্তিতে। এবার এই বছর দেওয়া হবে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা। অন্যদিকে এই প্রকল্পের শর্ত বলে যে প্রথম কিস্তি পাওয়ার বারো মাসের মধ্যে বাড়ি বানিয়ে ফেলতে হবে।

যদি টাকা পেয়েও বাড়ি না হয় তাহলে কী হবে ?

পঞ্চায়েত দপ্তর জানিয়েছে অনেকেই বাড়ি তৈরির টাকা নিয়ে সেটি দিয়ে বাড়ি বানাচ্ছে না। জানা গিয়েছে অনেকেই এই অনুদানের টাকা অন্য জায়গায় ব্যবহার করছে। এরমধ্যেই জেলা প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ না শুরু হলে সেই টাকা ফেরত দিতে হবে। শুধু তাই নয় নিয়মিত বাড়ি নির্মাণের অগ্রগতিও পর্যবেক্ষণ করা হবে আর সরকারের দেওয়া সেই অনুদান শুধুমাত্র বাড়ি তৈরি করার জন্যই ব্যবহার করতে হবে।

সম্প্রতি মেমোরিতে একটি অভিযোগ উঠে এসেছে যে সেখানকার কিছু উপভোক্তার কাছে উন্নয়ন ফি হিসেবে ১০০০ টাকা দাবি করা হয়েছিল। যেটি নিয়ে পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন যে এই ফি নেওয়ার কোনো সরকারি নিয়ম নেই। যদি কেউ কারোর কাছ থেকে কোনরকম টাকা চায় তাহলে সেটি বেআইনি।

এই প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী ?

সরকারের হিসেব বলছে এই প্রকল্পে প্রায় ২৮ লাখ পরিবারকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। যাদের মধ্যে ১২ লাখ পরিবার টাকা পেয়ে গিয়েছে। বাকি ১৬ লাখ পরিবার ২০২৫ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৬ সালের মে মাসের মধ্যে তাদের  টাকা পেয়ে যাবে। শুধু তাই নয় অতিরিক্ত ১৬ লাখ পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে তিনি ৫০ লাখ পরিবারকে এই প্রকল্পের সুবিধা প্রধান করবেন।

Leave a Comment