DA Order Copy News – DA অর্ডার কপি প্রকাশ! জানতে চান আপনার বকেয়া DA কখন আসছে ?

DA Order Copy News -রাজ্যের কর্মীদের বহু প্রতীক্ষিত বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলার শুনানি হয়ে গিয়েছে। এবার শুধু বাকি অন্তিম রায়। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এরপর শুধু কর্মচারী সংগঠনগুলির এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব বাতিল করা বাকি। এটি শেষ হলেই চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তাই আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে রাজ্য সরকারের কর্মীদের।

এই বিষয়ে কী বলছে রাজ্য সরকার ?

কোর্টের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগেই রাজ্যের পক্ষ থেকে লড়াই করা আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টে ৬২ পাতার একটি লিখিত জবাব দায়ের করেছেন আর সেখানে দুটি যুক্তি দিয়েছেন। প্রথমে তিনি বলেছেন ডিএ বাধ্যতামূলক নয় মানে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো থাকার জন্য কোনো রাজ্যই তার কর্মীদের ডিএ দিতে বাধ্য নয়। যেকোনো রাজ্যের সরকার আর্থিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ডিএ দিতে পারে।এদিকে দেশের প্রায় ১৩ টির মতো রাজ্যে কেন্দ্র সরকারের মতো ডিএ দেওয়া হয়না। সুতরাং এই সমস্যা শুধু বাংলার নয় আরো অনেক রাজ্যেরই। তাই রাজ্য সরকার জানিয়েছে তারা তাদের সাধ্যমতো ডিএ দেওয়ার চেষ্টা করছে।

EMI না দিলে আপনার মোবাইল ও Aadhaar সব লক,নতুন নিয়ম চালু হলো

সরকারি কর্মচারীরা কী আশা করছেন ? – (DA Order Copy News)

অন্যদিকে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ভাবছেন আদালত নির্দেশ দিলেই তারা তাদের বকেয়া ডিএ পেয়ে যাবেন। কারণ এর আগেও কলকাতা হাইকোর্ট কর্মচারীদের হয়েই রায় দিয়েছিল। তাই তারা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন। এর আগে অন্তর্বর্তী নির্দেশ না মানার (DA Order Copy News) জন্য সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে তিরস্কার করেছিল আর বিচারপতি সঞ্জয় করোল বলেছিলেন রাজ্য সরকার মহাজনদের মতো আচরণ করছে। তারা কর্মীদের টাকা না দিয়ে সেগুলোকে অন্য কাজে ব্যবহার করছে।

অন্যদিকে গত ১৬ ই মে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের কর্মীদের বকেয়ার ২৫% টাকা ২৭ জুনের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই কথা শোনেনি। জানা গিয়েছে যখন সকল পক্ষের লিখিত জবাব জমা পড়বে তখন আদালতে পরপর ছুটি শুরু হবে। তাই হয়তো আগামী দীপাবলির ছুটির পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। তাই এখন রাজ্যের ১০ লাখ সরকারি কর্মচারী সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আশায় অপেক্ষা করছেন।

Leave a Comment