Lado Lakshmi Yojana: বর্তমান দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই মহিলাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন আর্থিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। লাডো লক্ষ্মী যোজনা (Lado Lakshmi Yojana) আরেকটি নতুন প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে মহিলারা প্রতিমাসে ২১০০ করে টাকা পাবেন। পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের পর তার অনুকরণে অনেকগুলো প্রকল্প চালু হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। চলুন এই লাডো লক্ষ্মী যোজনার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিই।
এই লাডো লক্ষ্মী যোজনাটি হরিয়ানার মহিলাদের জন্য। এটি মূলত সেই রাজ্যের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার জন্যই চালু করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি এই বিরাট ঘোষণা করেছেন। এই যোজনাটি ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে চালু হবে। এই প্রকল্পে মহিলারা ২১০০ টাকা করে পাবেন।
লাডো লক্ষ্মী যোজনা প্রকল্পের সুবিধা কী কী ?
‘লাডো লক্ষ্মী যোজনা’ মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য চালু করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের অধীনে ২৩ বছর বা তার বেশি মহিলারা মাসে মাসেব ২১০০ টাকা পাবেন। এই প্রকল্পের সুবিধা বিবাহিত থেকে অবিবাহিত মহিলা সকলেই পাবেন। তবে যদি কোনো মহিলা পেনশন পাচ্ছেন তাহলে তিনি এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। ইতিমধ্যেই হরিয়ানা সরকার এই প্রকল্পের জন্য ৫০০০ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে। এই উদ্যোগটি মহিলাদের দৈনন্দিন খরচে স্বাধীনতা এনে দেবে।
সরকার ফেরত নিচ্ছে ঘরের টাকা! কে খালি যাচ্ছে, কে পাবে? পুরো তথ্য এখানে!
আমরা আগেই বলেছি যে ২৩ বছর বয়সী মহিলা বা তার বেশি বয়সের মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এছাড়া যেসকল মহিলাদের (Lado Lakshmi Yojana) পরিবারের বার্ষিক আয় ১ লক্ষ টাকার কম তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। যেসকল মহিলারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন তারাই কেবল এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
এছাড়াও মহিলা বা তার স্বামীকে হরিয়ানার স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে ১৫ বছর ধরে বাস করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থায়ী বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যদি একটি পরিবারে একাধিক মহিলা থাকেন তাহলে তারা সকলেই এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ যদি কোনো পরিবারে তিনজন যোগ্য মহিলা থাকেন তারা সকলেই প্রতিমাসে ২১০০ টাকার আর্থিক সহায়তা পাবেন। এতে সেই পরিবারের আর্থিক স্থিতিশীলতা বাড়বে।
এই প্রকল্পে কীভাবে আবেদন করবেন ?
এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য সরকার একটি অ্যাপ চালু করবেন। সেই অ্যাপের মাধ্যমে মহিলারা অনায়াসেই ঘরে বসেই এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। শুধু তাই নয় পঞ্চায়েত এবং ওয়ার্ডে যোগ্য মহিলাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর আবেদনকারীদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র যেমন আধার কার্ড, আয়ের প্রমাণপত্র এবং হরিয়ানার বাসিন্দা হিসেবে প্রমাণ ইত্যাদি জমা করতে হবে। এর মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হবে কত সংখ্যক মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
ইতিমধ্যেই সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রকল্পের বিস্তারিত নিয়ম-কানুন প্রকাশ করে দেবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেলেই আপনারা অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। পঞ্চায়েত এবং ওয়ার্ডে তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে। এছাড়া আবেদনকারীদের সঠিক তথ্য ও নথি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এই প্রক্রিয়াটি তাড়াতাড়ি ও ঝামেলামুক্ত করার জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নেবে। শুধু তাই নয় মহিলারা এই অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের আবেদনের অবস্থাও পরীক্ষা করতে পারবেন।
এই প্রকল্পের আসল উদ্দেশ্য হল মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা। এছাড়া এই প্রকল্পের জন্য মহিলাদের আর অন্যদের উপর নির্ভর হতে হবেনা। শুধু তাই নয় এই প্রকল্পটি একটি পরিবারের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াবে। হরিয়ানার সরকার এই প্রকল্পটি মহিলাদের সম্মান ও স্বাধীনতা দেবে। এছাড়াও এটি রাজ্যের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্যে করবে।
এই প্রকল্পের টাকা মহিলাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। এই প্রকল্পের টাকা তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। হরিয়ানার এই উদ্যোগ প্রতিটি রাজ্যের কাছে একটি উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি এটি রাজ্যের অর্থনীতিও উন্নতি হবে।
সিভিক, ভিলেজ পুলিশ ও হোম গার্ডদের জন্য বড় সুখবর – ৩৫-এর নিচে চাকরি নিশ্চিত।

Prarthana School Team has been crafting high-quality content for over 9 years, gaining extensive experience across a wide range of niches. We are dedicated to delivering well-researched, genuine, and authentic information. Follow us regularly to stay updated with valuable insights and trustworthy content.