Sim Card Validity News – গত কয়েক বছরে মোবাইল রিচার্জের দাম সোনার দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে। শুরুতে গ্রাহকদের মোবাইলে আসক্ত করার জন্য ৯৯ টাকায় লাইফটাইম সিম কার্ডের বৈধতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পরে সেই লাইফটাইম বৈধতা সরিয়ে মাত্র ২৯ টাকায় শুধু বৈধতা চালু রাখার রিচার্জ প্ল্যান চালু হয়। তারপরের ঘটনা সবাই জানে। ২৯ টাকা থেকে দাম বেড়ে ৩৭ টাকা হলো। তারপর ৩৯, ৪৯, ৯৯, ১৪৯ টাকা। এখন এসেছে ১৯৯ টাকায়। অর্থাৎ সিম কার্ডের সর্বনিম্ন বৈধতা চালাতে গেলেও কমপক্ষে ১৯৯ টাকা রিচার্জ করতে হবে। এবার কেন্দ্র সরকার এ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। রিচার্জ না থাকলেও কিছুদিন ইনকামিং কল চালু রাখতে হবে।
মোবাইল রিচার্জের দাম ক্রমশ বাড়তে থাকছে এতে ভারতের টেলিকম জগতে বড় উলটোপালটা হয়েছে। গত বছর জুলাই থেকে শুরু এই দামবৃদ্ধি এখনও চলছে। ফলে গ্রাহকরা আগে যেমন একাধিক সিম চালাত, এখন তা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রতারণা এই, যাদের আনলিমিটেড কল দরকার নেই, তাদেরও জোর করে আনলিমিটেড ফ্রি কল আর ডেটা রিচার্জ নিতে হচ্ছে। ট্রাই শুধু ভয়েস কল রিচার্জ আর সিমের ভ্যালিডিটি চালু রাখার সরল প্ল্যান চালু করার আদেশ দিল। কিন্তু দাম তবু বাড়ছেই। এখন প্রিপেইড সিম চালু রাখা ব্যয়বহুল ব্যাপার।
লাইভ টাইমের ভ্যালিডিটি এখন অতীতের কথা। সিম চালু রাখতে চাইলে একটা রিচার্জ করতেই হবে। কথা বলা বা ডেটার খুব দরকার নেই যাদের, তারা মাত্র ২০ টাকা খরচ করে সিমের ভ্যালিডিটি বাঁচিয়ে রাখতে পারে। এই নিয়মটা জেনে নাও।
EMI না দিলে আপনার মোবাইল ও Aadhaar সব লক,নতুন নিয়ম চালু হলো
টেলিকম অথরিটির নিয়ম মেনে চলতে হলে, আপনার প্রিপেইড সিম ৯০ দিন ব্যবহার না করলে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। এই কথা জিও, এয়ারটেল বা ভিআই-এর মতো বড় কোম্পানির সিমগুলোর ক্ষেত্রে খাটে। অব্যবহার মানে কোনো কল দেওয়া, মেসেজ পাঠানো বা ডেটা খরচ না করা। এই ৯০ দিনে আপনি ইনকামিং কল বা মেসেজ পেতে পারেন, তবে সেটা আপনার শেষ রিচার্জ প্ল্যানের ওপর নির্ভর করে। কোনো কাজ না করলে সিমটা পুরোপুরি বন্ধ। এই নিয়ম গ্রাহকদের রেগুলার রিচার্জ করতে উৎসাহ দেয়।
জিওর ক্ষেত্রে সিমটা ৯০ দিন রিচার্জ ছাড়াই চলে। এই সময় ইনকামিং কল আর মেসেজ আসে, কিন্তু আউটগোয়িং সব বন্ধ। শেষ প্ল্যান অনুসারে এটা একটু বদলাতে পারে। ৯০ দিন পার হলে সিম নিষ্ক্রিয় হয়, আর নতুন কারও জন্য খোলা পড়ে। জিও এভাবে গ্রাহকদের সাবধান করে। আপনার সিমের অবস্থা নিয়মিত দেখুন। তবে জিও সিমে ইনকামিং কখনো বন্ধ হয় না।
ভিআই-এর সিমও ৯০ দিন না ব্যবহার করলে বন্ধ হয়ে যায়। এই সময়টা চলাকালীন আপনি আসা কল আর এসএমএস পাবেন। কিন্তু বাকি সব সার্ভিস থেমে যাবে। ট্রাই-এর নিয়মে সব প্রোভাইডারের ক্ষেত্রে এটা একই রকম। ভিআই-এর গ্রাহকরা যদি দ্বিতীয় সিম হিসেবে এটা চালান, তাহলে একটু বেশি সতর্ক থাকুন। নম্বর হারিয়ে যাওয়ার ভয় এড়াতে ঠিক সময়ে কাজ করুন।
যদি ৯০ দিন পরেও অ্যাকাউন্টে ২০ টাকার বেশি টাকা থাকে, তাহলে কোম্পানি নিজে থেকে ২০ টাকা কেটে নেয়। এর বদলে সিমের ভ্যালিডিটি আরও ৩০ দিন বাড়িয়ে দেয়। এই চক্কর চলতেই থাকে, যতক্ষণ না ব্যালেন্স ২০ টাকার নিচে নামে। টাকা ফুরোলে সিম পুরোপুরি শেষ। এই ব্যবস্থা গ্রাহকদের সিম দীর্ঘদিন চালু রাখতে সাহায্য করে। তাই মাসে ১৯৯ টাকা খরচ করতে না চাইলে, অন্তত ২০ টাকা ব্যালেন্স রাখুন।
সিম বন্ধ হলে আপনার হাতে ১৫ দিন সময় থাকে। এই সময়ে ২০ টাকা ফি দিয়ে নম্বর ফিরিয়ে আনতে পারবেন। না করলে আসা কলও বন্ধ হয়ে যাবে। লম্বা সময় রিচার্জ না করলে সেই নম্বর আর কাজে লাগবে না। ট্রাই-এর গ্রেস পিরিয়ডে টাকা না থাকলেও কিছু সময় পান সিম চালু করার জন্য। তাই গুরুত্বপূর্ণ নম্বর রাখতে অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ২০ টাকা রাখুন।
জিও, এয়ারটেল আর ভিআই-এর ব্যবহারকারীরা রিচার্জ ছাড়াই সিম চালু রাখতে পারেন। ৯০ দিন ধরে আসা সুবিধা নিতে পারবেন। তবে আউটগোয়িং কল, ডেটা বা এসএমএস চলবে না। এই সুবিধার জন্য ব্যালেন্সে অন্তত ২০ টাকা রাখতে হবে। অনেকে এভাবে দ্বিতীয় সিমটাকে সক্রিয় রাখছেন। রিপোর্টটা ভালো লাগলে এখানে একটা লাইক দিন ।
রোজ 4GB ডেটা, Apple Music, 30GB ক্লাউড স্টোরেজ – একটাই রিচার্জে এত সুবিধা, বিশ্বাস হচ্ছে ?

Prarthana School Team has been crafting high-quality content for over 9 years, gaining extensive experience across a wide range of niches. We are dedicated to delivering well-researched, genuine, and authentic information. Follow us regularly to stay updated with valuable insights and trustworthy content.